বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ও তার কোম্পানি টেসলা এখন কঠিন সময় পার করছে। টেসলার মুনাফা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ এজেন্ডার আওতায় যে বিশাল ভর্তুকি টেসলা পাচ্ছে, সেটাই এখন অবধি কোম্পানির লাভজনক থাকার মূল ভিত্তি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেক বড় সমস্যা—টেসলার অনেক কারখানা চীনে হওয়ায়, চীনের নিয়ন্ত্রণের হুমকির মুখে আছে কোম্পানিটি।
যেকোনো সময় চীন যদি কারখানাগুলো দখল করে নেয় বা উৎপাদনে বাধা দেয়, তাহলে টেসলার জন্য বড় বিপর্যয় নেমে আসবে। এদিকে, চীনের নিজস্ব বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো টেসলার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। তারা সস্তায়, দ্রুত এবং বেশি গাড়ি উৎপাদন করতে পারছে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
টেসলা মাস্কের প্রধান আয়ের উৎস। তাই সে এখন নতুন কৌশল নিয়ে ভাবছে। চীনে থাকা কারখানাগুলো সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির মতো মিত্র দেশগুলোতে নিয়ে আসার কথা ভাবছে এখন। কিন্তু এই কাজ খুব ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ।
এদিকে, মাস্ক নতুন এক পথ খুঁজছে। সে চায়, যুক্তরাষ্ট্রে তার নতুন কারখানাগুলোতে কাজের জন্য লক্ষ লক্ষ ভারতীয় শ্রমিক নিয়ে আসতে। এজন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে যথেষ্ট প্ররোচিতও করে যাচ্ছে ইলন মাস্ক।
এতে করে সে তার সম্পদ রক্ষা করতে পারবে এবং মুনাফা আরও বাড়ানোর সুযোগ পাবে। যদিও বলা হচ্ছে, এটা দক্ষ জনশক্তি নিয়ে আসার বিষয়, আসলে এর পেছনে মাস্কের আসল লক্ষ্য ক্ষমতা এবং মুনাফাই।