তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ১৯ ডিসেম্বর কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।
সফরে তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, পুনর্গঠন, এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করবেন।
বাশার আল-আসাদের সরকার পতনের পর সিরিয়ায় হায়াত তাহরির আল-শামের (HTS) নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে আসছে এবং আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখছে।
সম্প্রতি তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন দামেস্ক সফরে HTS নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। HTS একটি প্রাক্তন আল-কায়েদা শাখা হওয়ায় মিশর, সৌদি আরব, জর্ডান এবং আমিরাতের মতো দেশগুলো উদ্বিগ্ন।
যদিও HTS জানিয়েছে, তারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সন্ত্রাসবিহীন সরকার গঠন করবে।
এরদোয়ান এবং সিসি দীর্ঘদিনের বৈরিতা শেষে ২০২৪ সালে পুনর্মিলন করেন। দুই নেতা এবার সিরিয়া পুনর্গঠন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করবেন।
মিশর এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে চায় এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকেও এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তুরস্ক সিরিয়ার পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে তারা প্রায় তিন মিলিয়ন সিরীয় শরণার্থীকে দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে। তবে জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, সিরিয়ার পুনর্গঠনে ৪০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।