ডোনাল্ড ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই গ্রিনল্যান্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এটি বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ এবং ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।

গ্রিনল্যান্ডের বিশাল খনিজ সম্পদ কি তার এই আগ্রহের পেছনের কারণ? চলুন বিস্তারিত জানা যাক।


বিরল মাটির উপাদান (Rare Earth Elements – REEs):

গ্রিনল্যান্ডে রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিরল মাটির উপাদান যেমন- ইট্রিয়াম, স্ক্যান্ডিয়াম, নিওডিমিয়াম, এবং ডাইস্প্রসিয়াম। এগুলো মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিক যানবাহন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চুম্বক, উইন্ড টারবাইন, ব্যাটারি, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য, পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর এবং সামরিক প্রযুক্তি তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিরল মাটির অক্সাইড (Rare Earth Oxides – REOs):

বিশাল এই ভূখণ্ডটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরল মাটির অক্সাইড (৪২ মিলিয়ন টন) ভাণ্ডার ধারণ করে। এগুলো টেলিভিশন ও কম্পিউটার স্ক্রিন, লেজার, শক্তিশালী ব্যাটারি এবং এক্স-রে ইনটেনসিফায়ার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

মূল্যবান ধাতু ও খনিজ:

1. নালুনাক সোনা খনি এবং মামোরিলিক রুপার খনিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ধাতু পাওয়া গেছে।

2. দক্ষিণ গ্রিনল্যান্ডের কপার বেল্ট অঞ্চলে তামার খননের সম্ভাবনা রয়েছে।

3. প্রচুর ইউরেনিয়াম জমা রয়েছে (যদিও ২০২১ সালে ইউরেনিয়ামের খনন ও অনুসন্ধান নিষিদ্ধ করা হয়)।

4. টাইটানিয়াম-ভ্যানাডিয়ামের অজানা খনির সম্ভাবনা রয়েছে।

5. সীসা, মলিবডেনাম, টাইটানিয়াম এবং জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল উত্তোলনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

6. আমিতসোক গ্রাফাইট প্রকল্পে উচ্চমানের প্রায় ৮.২৮ মিলিয়ন টন গ্রাফাইট পাওয়া গেছে, যা বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য ব্যাটারি তৈরিতে প্রয়োজনীয়।

তেল ও গ্যাস:

গ্রিনল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলে রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তেল ও গ্যাস, যা এখনও অব্যবহৃত।

গ্রিনল্যান্ডের এই বিপুল খনিজ সম্পদই কি তাহলে ট্রাম্পের আগ্রহের প্রধান কারণ? উত্তরটা হয়তো সেখানেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *