ইসরায়েলের আঞ্চলিক সহযোগিতা মন্ত্রী ডেভিড আমসালেম সম্প্রতি গাজা যুদ্ধে সমাপ্তি আনতে হামাসের সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ বন্দি বিনিময় চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, একটি একক চুক্তি করলে গাজার যুদ্ধ সহজেই শেষ করা যেত এবং পশ্চিম তীরে যেমন ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে, গাজাতেও একই কৌশল অবলম্বন সম্ভব হতো। 

বর্তমানে ইসরায়েল একটি দুই-ধাপের চুক্তি প্রস্তাব করছে। প্রথম ধাপে নারী, আহত ও প্রবীণ বন্দিদের মুক্তি, এবং দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধের সমাপ্তি ও সেনা প্রত্যাহারের শর্তে একটি বৃহত্তর চুক্তি কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

তবে আমসালেম জোর দিয়ে বলেন, ফিলাডেলফি করিডোর (গাজা ও মিসরের সীমান্তে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল) ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকা আবশ্যক।

তিনি আরও বলেন,

ইসরায়েলি সেনাদের গাজায় স্থায়ীভাবে থাকার পরিকল্পনা নেই এবং পুনর্বাসনের দাবি অপ্রয়োজনীয়। 


এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখনো যুদ্ধবিরতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।

তবে তার সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী গাজার ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে তাদের জমিতে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের পক্ষে মত দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চালানো হলেও নেতানিয়াহুর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই প্রচেষ্টা গুলো  ব্যর্থ হয়েছে। 

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গালান্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে গাজার গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *