শিশুদের যৌন নিপীড়ন এবং বলাৎকার করার কারণে অর্থাৎ শিশুদের জোর করে ধর্ষণ করার কারণে তার নিজের সংগঠনই তাকে বহিষ্কার করে। শুধু তাই নয়। তার এই শিশু বলাৎকারের খায়েশ এত তীব্রতায় পৌঁছে যে সংগঠনটি তাকে ১৮ বছরের কম বয়সী কারো সাথে দেখা করা পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছিল।
এই লোক ধর্মকে এবং ক্ষমতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কত অপকর্ম যে করেছে তার হিসাব কে রাখে। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ পেয়ে নেমে পরে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে। এতো কিছুর পরেও সে ক্ষমতা প্রতিপত্তি এবং একটা নির্দিষ্ট দেশের মদদ পেয়ে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে। একে একে ভঙ্গ করতে থাকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইন। কিন্তু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে।
রাষ্ট্র যখন তাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে তখন তার ঔদ্ধত্য চুপসে যায়। নিজেকে ভিকটিম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। ধর্মের দোহাই দেয়া শুরু করে।
আশ্চর্যজনক ভাবে যেই সংগঠন তাকে শিশু বলাৎকারের অভিযোগে বহিষ্কার করে সব ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যোগদান নিষিদ্ধ করেছিল, সেই সংগঠনই এখন তার পক্ষে ধর্মকে নিয়ে এসে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই শিশু বলাৎকারকারী এবং দেশদ্রোহীর অভিযোগে অভিযুক্তকে তারা ধর্মীয় গুরু, মানবাধিকার নেতা, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষাকারী আর কত শত বিশেষণে ভূষিত করে তার পক্ষে আন্দোলন করছে। তাকে বিনা শর্তে বিনা বিচারে মুক্তির জন্য রাষ্ট্রকে হুমকি দিচ্ছে।
এমনকি অন্য দেশকে ডেকে এই শিশু বলাৎকারকারীর পক্ষে সাফাই গাইতে বলছে। সেই দেশও এই শিশু বলাৎকারকারীর পক্ষে চোখ বুঝে সাফাই গাইছে।
আরে ভাই তোমরা কেমন বুদ্ধির লোক বলতো! যাকে তার অপকর্মের জন্য সংগঠন থেকে বেড় করে দিলা, শিশুদেরকে তার নাগাল থেকে দূরে রাখার নির্দেশ দিলা, কোন ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে তার যোগদান নিষিদ্ধ করলা, ধর্মীয় কোন গোষ্ঠীর সাথে তার সম্পর্ক পুরোপুরি বন্ধ করে দিলা, সেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে যখন রাষ্ট্র ধরে নিয়ে বলল তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে চল থানায় চল, তখন তোমাদের দরদ উথলে উঠলো কেন?
কেন এই শিশু বলাৎকারকারীর প্রতি তোমাদের এত প্রেম এত ভালবাসা? কেন তোমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নেই? কেন তোমরা যেই রাষ্ট্রের নাগরিক সেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অন্য দেশের কাছে এই শিশু বলাৎকারকারীর জন্য নালিশ করো।
তোমাদের তো আসলে বাংলাদেশের সরকারকে এবং রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ দেয়া দরকার এই বলে যে, হে সরকার/রাষ্ট্র আমাদের এই সংগঠনকে আপনি কলঙ্কমুক্ত করেছেন। যার বিচার আমরা করতে পারিনি তাকে আপনি বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। আমাদের ধর্মের উপর যে কলঙ্কের দাগ সে লাগিয়েছে সেটা আপনি ঘষেমেজে সাফ করে দিচ্ছেন। আমরা আপনার পাশে আছি।
তা না করে তোমরা এই শিশু বলাৎকারকারীর জন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছো! অন্য রাষ্ট্রের কাছে নালিশ করছো? কেন?
কেন এই রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তে তোমরা ব্যবহৃত হচ্ছো। যদি না জেনে না বুঝে এই কাজে যুক্ত হও তাহলে ভুলের যেখান থেকেই ফিরে আসো তাতেই কল্যাণ।
আর যদি বুঝে-শুনে সজ্ঞানে এই কাজে যোগ দিয়ে থাকো তাহলে এটা স্পষ্ট হয় যে, তোমরা শিশু বলাৎকারকারীকে রক্ষায় নয় বরং আর বড় কোন ষড়যন্ত্রের জন্য এই বলাৎকারকারীর পক্ষ নিয়ে ইস্যু তৈরি করে তোমাদের আসল উদ্দেশ্যকে আড়াল করছ।
যদি এটাই হয়ে থাকে, গোপন বাসনা তবে মনে রাখা দরকার রাষ্ট্রের হাত অনেক বড়!
কপি টেলিগ্রাম – https://t.me/SorwarAlam