প্রশ্ন: তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল?

উত্তর: তারাবির নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা। (তবে পুরুষ মসজিদে জামাতের সাথে আর মহিলাগণ ঘরে পড়বে।) কেননা খোলাফায়ে রাশেদীন (বিশেষ করে উমর রাযি.-এর খেলাফতের শেষ জামানা থেকে) মুয়াযাবাত তথা নিয়মিত তারাবির নামাজ পড়তেন। আর রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন যে, “তোমরা আমার সুন্নতকে আঁকড়ে ধর এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতকে আঁকড়ে ধর। তার উপর তোমরা অটুট থাক।” ( সুনানে আবু দাউদ ৪৬০৭, তিরমিজী ২৬৭৬)

এজন্য ইমাম নববী বলেন, صلاة التراويح سنة بإجماع العلماء আলেমগণের ইজমা অনুযায়ী তারাবী নামাজ পড়া সুন্নত। (আলমাজমূ ৪/৩১)

তারাবির নামাজ সুন্নত হওয়াকে যে অস্বীকার করবে অথবা অবৈধ মনে করবে সে বিদআতের আবিস্কারক, পথভ্রষ্ট। আর তাহতাবী কিতাবে রয়েছে যে তারাবির নামাজ সুন্নত, এই নামাজ বর্জন ও ছেড়ে দেওয়া জায়েয নাই। (কামুসুল ফিকহ ২/৪৪৮)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল

এ নামাযকে তারাবীর নামায বলার কারণ

রমযান মাসের রাতের সুন্নত নামাযকে তারাবী বলা হয়। কারণ, তারাবির নামায অনেক রাকাতবিশিষ্ট দীর্ঘ নামায। মুসল্লীগণ প্রত্যেক চার রাকাত পর পর ‘তারবীহ’ তথা আরাম ও রাহাত গ্রহণ করে। এরপর ধারাবাহিকভাবে আবার নামায শুরু করে। এজন্য এ নামাযকে সালাতুত তারাবীহ তথা রাহাত ও আরামবিশিষ্ট নামায বলা হয়।

আরবী ভাষাবিৎ ইবনে মানযূর রাহ. বলেন, تَرَاوِيْحُ (তারাবীহ) শব্দটি تَرْوِيْحَةٌ -এর বহুবচন। تَرْوِيْحَةٌ -এর অর্থ একবার রাহাত (আরাম) নেওয়া। যেমন تَسْلِيْمَةٌ -এর অর্থ একবার সালাম দেওয়া। রমযানের রাতের সুন্নত নামাযকে তারাবীহ (রাহাত)-এর নামায এজন্য বলা হয় যে মুসল্লীরা প্রত্যেক চার রাকাত পর পর রাহাত বা আরাম গ্রহণ করে।

ইবনে মানযূর রাহ. বলেন- রাহাতের অর্থ হল ক্লান্তি ক্লেশ ইত্যাদি না থাকা। যেমন হাদীস শরীফে এসেছে-

أَرِحْنَا بِهَا يَا بِلَالُ.

হে বেলাল! নামাজের মাধ্যমে আমাদেরকে আরাম দাও। মুসনাদে আহমাদ হাদীস ২৩০৮৮ সুনানে আবু দাউদ হাদীস ৪৯৮৫ মুজামে কাবীর তবারানী হাদীস ৬২১৫

অর্থাৎ তুমি আযান দাও, তাহলে নামায আদায়ের মাধ্যমে রাহাত লাভ হবে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের মধ্যে রাহাত পেতেন। কারণ, নামাযে আল্লাহ্র সাথে নিভৃত আলাপ হয়। এজন্য তিনি বলেছেন-

جُعِلَتْ قُرّةُ عَيْنِي فِي الصّلَاةِ.

আমার চোখের শীতলতা রাখা হয়েছে নামাজের মধ্যে। (ষমুসনাদে আহমাদ হাদীস ১২২৯৩ সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৩৯৩৯

ফরজ গোসলের নিয়ম

তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *