বিশ্বের বৃহত্তম সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে জানিয়েছে যে, বিটকয়েন আর “উগ্র ধারণা” নয়; বরং এটি একটি বৈধ সম্পদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ব্ল্যাকরক-এর এই পরিবর্তন Wall Street-এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের (যেমন Vanguard এবং State Street,) সাবধানী অবস্থানের বিপরীত।
ব্ল্যাক রক-এর “আউটলুক ২০২৫” প্রতিবেদনে এটিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বিটকয়েনকে একটি “কৌশলগত প্রতিরক্ষামূলক সম্পদ” হিসেবে উল্লেখ করেছে, যা সুনির্দিষ্ট ঝুঁকির বিরুদ্ধে সোনার মতো কাজ করতে পারে।
তবে, প্রশ্ন হল,
এই ঝুঁকিগুলো কী?
১. বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পূর্বাভাস:
ব্ল্যাকরক একটি আসন্ন অর্থনৈতিক পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক করছে, যা হয়তো শিল্পবিপ্লবকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এটি “ভূরাজনৈতিক বিভাজন” এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক পরিবর্তন দ্বারা বুঝা যাবে।
২. বিটকয়েন: প্রতিরক্ষামূলক সম্পদ এবং ভবিষ্যৎ পেমেন্ট প্রযুক্তি
ব্ল্যাকরক দাবি করেছে, বিটকয়েন কেবল একটি প্রতিরক্ষামূলক সম্পদ নয়; এটি পেমেন্ট প্রযুক্তি হিসেবেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, যা ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে।
কিন্তু কেন এমন একটি প্রতিষ্ঠান বিটকয়েনের মতো একটি নতুন পেমেন্ট প্রযুক্তিতে আগ্রহী, বিশেষত যা ডলার-কেন্দ্রিক নয়?
৩. ডি-ডলারাইজেশনের প্রস্তুতি (ডলার নির্ভরতা কমানো)
ব্ল্যাকরক তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীরা এখন ডলার থেকে সরে এসে অন্যান্য মুদ্রায় ট্রেড ফিনান্স পরিচালনা করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ব্ল্যাকরকের ডি-ডলারাইজেশনের প্রতি সমর্থন এবং বর্তমান বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থার বিকল্প প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিতে পারে।
★ বিশেষজ্ঞদের মতামত
ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষক চার্লস ওরটেলের মতে, এটি সম্ভব যে, ব্ল্যাকরক ডলারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে।
তিনি ১৯৯২ সালে জর্জ সোরসের একটি পদক্ষেপের উদাহরণ দেন, যিনি ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিপর্যস্ত করেছিলেন।
ওরটেল বলেন,
“সোরস ১৯৯২ সালে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে ভেঙে দিয়েছিলেন। সম্ভবত, ব্ল্যাকরকও মনে করছে যে তারা আজকের ‘কঠিন’ ফিয়াট মুদ্রার উপর নির্ভরশীল অতিরিক্ত ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর বিপর্যয় থেকে লাভবান হতে পারে,”