ইউক্রেনে ২০২২ সালে শুরু হওয়া সংঘাত পশ্চিমা জেনারেল ও সামরিক শিল্পপতিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে, কারণ ন্যাটোর নেতারা সামরিক ব্যয় দ্রুত বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।

২% নির্দেশিকা পূরণে ২৩টি দেশ

এ বছর ন্যাটোর ৩২টি সদস্য দেশের মধ্যে ২৩টি তাদের মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ২% প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের নির্দেশিকা পূরণ করেছে। এমনকি কিছু দেশ এই সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে পোল্যান্ড শীর্ষে রয়েছে, যারা প্রায় ৪.১২% জিডিপি (৩৪.৯ বিলিয়ন ডলার) সামরিক খাতে ব্যয় করেছে।

তুলনার জন্য: যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালে প্রতিরক্ষায় জিডিপির ৩.৩৮% ব্যয় করেছে, আর যুক্তরাজ্যের সামরিক ব্যয় ছিল আনুমানিক ২.৩৩%।

মোট ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে

তবে সামগ্রিক ব্যয়ের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রই ন্যাটোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালে দেশটি প্রতিরক্ষায় প্রায় ৯৬৭.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।

জার্মানি, ন্যাটোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক ব্যয়ের দেশ, এ বছর ব্যয় করেছে ৯৭.৬ বিলিয়ন ডলার।

যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স যথাক্রমে ৮২.১ বিলিয়ন ডলার ও ৬৪.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।

২০২৪ সালে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো সামরিক ব্যয়ে গড় হিসেবে জিডিপির ২.৭১% ব্যয় করেছে, যা ২০২৩ সালের ২.৫৩% থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।

৫% লক্ষ্যে ট্রাম্পের চাপ

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিরক্ষা ব্যয়কে আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস অনুযায়ী, তিনি ন্যাটোর সদস্য দেশগুলিকে জিডিপির ৫% পর্যন্ত সামরিক ব্যয় করতে চাপ দিচ্ছেন।

যদিও ট্রাম্পের এই দাবি অন্যান্য সদস্য দেশ গ্রহণ করবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত, তবে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে গত মাসে জানিয়েছেন, ২% প্রতিরক্ষা ব্যয় যথেষ্ট নয় বলে মনে হচ্ছে।

সামরিক ব্যয়ের এই বৃদ্ধি ভবিষ্যতে ন্যাটো জোটের সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক এবং সামরিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *